মানবাধিকারের তালিকায় ফ্রি
- প্রযুক্তি ডেস্ক
- ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বিনামূল্যে ইন্টারনেটপ্রাপ্তি বা ব্যবহারের সুবিধা মানবাধিকারের অংশ হওয়া উচিত। কারণ, ইন্টারনেট ছাড়া বর্তমান বিশ্ব এখন অকল্পনীয়। মানুষের দৈনন্দিন জীবন ইন্টারনেটের ওপর অনেকখানি নির্ভরশীল। সম্প্রতি ‘ফ্রি ইন্টারনেট অ্যাকসেস অ্যাজ এ হিউম্যান রাইট’ নামের বই প্রকাশ করেছেন ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মার্টেন রেগলিৎজ।
বইটিতে বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকে মানবাধিকার হিসেবে বর্ণনা করে একটি খসড়া নিবন্ধ তৈরি করেছেন রেগলিৎজ। এতে বলা হয়েছে, কোনো স্বেচ্ছাচারী হস্তক্ষেপ ছাড়াই প্রত্যেকের বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারা উচিত। বেশির ভাগ মানুষের কাছেই ইন্টারনেট ছাড়া পৃথিবী চিন্তা করাও অকল্পনীয়। দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে, সম্পর্ক বজায় রাখতে, শিখতে, পড়তে, বিভিন্ন পরিষেবা পেতে কিংবা নিজেকে প্রকাশ করার জন্যও আমাদের ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন। বর্তমানে আধুনিক জীবনযাত্রার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে এটি। বেশির ভাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় আছে, যা ডিজিটাল বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে ও নিজেদের মুনাফার জন্য সংগ্রহ করছে মানুষের ব্যক্তিগত ডেটা বা তথ্য। এর পরও এসব প্রযুক্তি কোম্পানি বড় গলায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বলেন, তারা যেন অনলাইনে অন্যদের ক্ষতি না করেন। এসবই মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, প্রাইভেসি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনসহ আমাদের নানা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। মানবাধিকারের নতুন মানদণ্ডে এনে এসব ঠেকাতে হবে। যাতে অনলাইনে শত্রুভাবাপন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে সুরক্ষিত থাকার অধিকার পান ব্যবহারকারীরা। প্রত্যেকে যাতে অনলাইনে যাওয়ার মৌলিক প্রয়োজনীয়তাটুকু পূরণ করতে পারেন এ লক্ষ্যে নিজের বইতে বিশ্বের বিভিন্ন সরকারকে ডিজিটাল সেবা, ব্রডব্যান্ড অবকাঠামো ও ডিজিটাল দক্ষতায় বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন ড. রেগলিৎজ। আধুনিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ার পরেও ইন্টারনেট ব্যবহারে এখনো রয়েছে বৈষম্য। বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়টি বিশ্বের বিভিন্ন দরিদ্র দেশের জন্য সাশ্রয়ী নাও হতে পারে। তবে ন্যূনতম কিছু বাধ্যবাধকতা সেট করার মাধ্যমে মানুষের অধিকার হিসাবে বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার আরও সহজ করতে সহায়তা করবে। এসবের মধ্যে থাকতে পারে জাতীয় ব্রডব্যান্ড পরিকল্পনা, বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। ড. রেগলিৎজ বলেছেন, বিনামূল্যে ইন্টারনেট নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল পেতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গেও কাজ করে যাওয়া উচিত নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা